দেশজুড়ে আরও একবার লজ্জার মুখে পড়ল বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি। দীর্ঘদিন যাবৎ অপুষ্টির সমস্যায় জর্জরিত ভারত। আর এই রোগ সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে মোদীর সাধের ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতেই উঠে এসেছে তা। সম্প্রতি সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিই অপুষ্টিতে ভোগার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। প্রথম পাঁচটির মধ্যে তিনটিই বিজেপিশাসিত। সেক্ষেত্রে বাংলা রয়েছে অনেক নীচে। শুক্রবার লোকসভায় অপুষ্টি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় নারী শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। সেই রিপোর্টেই উঠে আসে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির করুণ ছবি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে লিখিত বিবৃতি প্রকাশের পর যে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় সামনে আসে, তা হল কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পাঁচে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে তিনটিই বিজেপিশাসিত রাজ্য। প্রথম স্থানেই রয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর এক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য বিহার। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
এদিন একটি প্রশ্নের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর গত অক্টোবর মাসের রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান পেশ করেন। এই খতিয়ান অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ২৬.৫ শতাংশ পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু আন্ডারওয়েটের শিকার। বিহারের ২২.৯ শতাংশ শিশু ভুগছে অপুষ্টি সমস্যায়। আর তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে অপুষ্টির শিকার ২০.৬ শতাংশ। দিল্লির পর রয়েছে যোগীরাজ্য। বিজেপির অন্যতম পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের ‘সুশাসনে’ রাজ্যের ১৯.৪ শতাংশ শিশুই ভোগে অপুষ্টিতে ভুগছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে ১৯.৩ শতাংশ শিশুর। কেন্দ্রের দেওয়া এই পরিসংখ্যানে বাংলা রয়েছে অনেক নীচে। অর্থাৎ বিজেপিশাসিত রাজ্যের মতো অপুষ্টির রোগ বঙ্গে নেই। কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনা সত্ত্বেও উন্নয়নের নিরিখে সাধারণ মানুষের কাছে অন্ন, বস্ত্র, খাদ্য ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।