ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠেছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। ফের ফুটে উঠল বাংলার প্রতি কেন্দ্রের তাচ্ছিল্যের প্রতিচ্ছবি। এক বছরের বেশি সময় ধরে তাজপুর বন্দরের ছাড়পত্র দিচ্ছে না কেন্দ্র। দিনের পর দিন এই কাজ করে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার নয়াদিল্লীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চড়া সুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একহাত নিলেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। “সমস্ত ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে আগেই, কিন্তু বন্দরের ছাড়পত্র আটকে রেখেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক”, বলেন তিনি।
পাশাপাশি মন্ত্রী জানান, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কোনও রাজনৈতিক প্রকল্প নয়, এটা সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। যারা এই প্রকল্পকে নিয়ে রাজনীতি করছেন, তারা ঠিক কাজ করছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যে এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন, তখন অনেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন। বিরোধীরা প্রকল্পকে অপমান করেছেন। বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে প্রকল্পের টাকা ডাবল করে দেওয়া হবে৷ মহিলাদের সম্মান প্রদানটা অনেক বড় বিষয়। শুধু হাজার টাকা দেবো, ২০০০ টাকা দেবো, এটা বলা ঠিক নয়। তারপরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করা হয়েছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “যারা একদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে অপমান করেছে, তারাই পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের সুফল পেয়েছে এবং তার অনুকরণ করতে শুরু করেছে৷ এখন নিন্দুকদের ঘুম ভেঙেছে, এখন বুঝতে পারছে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প৷ মহারাষ্ট্রের আমলারা বলছেন, এই প্রকল্প চালানোর মত আর্থিক সঙ্গতি নেই”, স্পষ্ট জানিয়েছেন শশী পাঁজা।