বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিশেষ দিনটিতে তৃণমূলের সেনাপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়ির বাইরে উপচে পড়ল জনজোয়ার। অভিষেকও নিরাশ করলেন না কাউকে। মিশে গেলেন ভিড়ে। জন্মদিনেও সারলেন জনসংযোগ। চোখের অস্ত্রোপচার সেরে পরিবারের সঙ্গে কালীপুজোয় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন শুভাকাঙ্খীরা। দুপুরে কালীঘাটের বাড়ির বাইরে সমর্থক ও দলীয় নেতা কর্মীদের ভিড় ছিল দেখার মতো। শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ। ‘লড়াই করে বাঁচতে চাই’ লেখা কেক কেটে দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিছুটা সময় কাটান অভিষেক। এদিন কঙ্কালীতলা মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছবি নিয়ে পুজো দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ৷ পরে মন্দির চত্বরে ১১টি কেক কাটা হয়৷ এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও অন্যান্য কর্মীরা। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে তৃণমূল যুব কংগ্রেস পুজো দেয়। জেলা যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারী ও যুব কর্মীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে পুজো দেন মদনমোহন মন্দিরে। এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে অভিষেকের একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ। অভিষেক জানালেন, লোকসভা ফলাফলের নিরিখে কলকাতা বাদ দিয়ে রাজ্যের পিছিয়ে থাকা এলাকায় সাংগঠনিক রদবদলের তালিকা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী মমতাই। শুধু তাই নয়, পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বেশ কিছু সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করা উচিত বলেও নেত্রীকে নোট পাঠিয়েছেন অভিষেক।
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড বলেন, ২০২৬-এর নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে আনুগত্যের থেকেও পারফরম্যান্সকে বেশি গুরুত্ব দেবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতা-কর্মী সাংসদ-বিধায়ক ও মন্ত্রীরা অভিষেককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাতে আসেন। প্রতিবছরের মতো এ-বছরও বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনসমুদ্রে মিশে যান অভিষেক। শুরু হয় দফায় দফায় জনতার ইচ্ছা ও আবদার পূরণ। চোখে অস্ত্রোপচারের পর এটাই কার্যত তাঁর সেইভাবে জনসমক্ষে আসা। রাস্তায় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়েই কর্মীদের আনা একের পর এক কেক কেটেছেন তিনি। মিটিয়েছেন সেলফির আবদার। অটোগ্রাফ দিয়েছেন টি-শার্টে। তাঁকে সামনে পেয়ে আপ্লুত জনতা। এদিন একান্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসতেও ভোলেননি অভিষেক। ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর চোখের অস্ত্রোপচারের কথা। রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সব ক’টি আসনই জেতা উচিত তৃণমূলের। তবে কোথাও কোনও সমস্যা মনে হলে দলের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে। আর জি কর-ইস্যু ও তার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নিয়েও মতামত জানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।