আসন্ন উপনির্বাচনের আগে ফের অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ বিজেপি। আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। এবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। ভবিজেপি নেতৃত্বের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন গেরুয়া-সাংসদ। নাম না করলেই মনোজ টিগ্গাকে নিশানা করে বার্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে একই কথা বারবার বলে চলেছে বিজেপি অথচ কাজের বেলায় চা বাগানের উন্নয়নের কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না তাঁর দল, তা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি নিজের দলের নেতৃত্বের বিরোধিতা করে পদ্মশিবিরে ভাঙনে ইঙ্গিত দিয়েছেন বার্লা। আগামী ১৩ নভেম্বর মাদারিহাট কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে প্রচার থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বার্লা। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বেশ মাথাব্যথা বেড়েছে দলীয় নেতৃত্বের।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারে জন বার্লা ও মনোজ টিগ্গার দ্বন্দ্ব ঘিরে অতীতে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। এবারেও ধরা পড়ল সেই একই ছবি। মনোজ সর্বত্র একনায়কতন্ত্র কায়েম করে রেখেছেন, এরকমই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। নাম না করে মনোজ টিগ্গার উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখানে ওয়ান আর্মি হিসাবে সব কিছু চলছে। কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলে। মাদারিহাটের উপ-নির্বাচনে আমার দুদিকে দুই ভাই, একদিকে গোর্খা একদিকে আদিবাসী। আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসী রাগ করবে।ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসাবে কেউ যদি জেলা চালায় তাহলে কি চলবে? তাই ওয়ান ম্যান এর জন্য কোনও লিডারশিপ নামছে না এইভাবে তো চলবে না,আপনারা বুঝবেন কাকে বলছি, এখন আমাকে ছাড়া জিতলে ভালো, চা বাগানের মানুষকে নিয়ে না চললে কেন বিশ্বাস করবে?” ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি সুকান্ত মজুমদারকে জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে জন বার্লার ডুয়ার্সের বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের বৈঠকের করেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা।