ক্রমাগত ফুটে উঠছে অব্যবস্থার চিত্র। কার্যত রসাতলে গিয়েছে যাত্রী সুরক্ষা। মোদী-জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা হয়ে উঠেছে প্রায় রোজকারের ছবি। একের এর পর প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছেন দেশবাসী। তবুও তিলমাত্র হেলদোল নেই কেন্দ্রের। তৃতীয় মোদী সরকারের জমানায় মাত্র ১২৬ দিনে ৫৫টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে! সম্প্রতিই প্রকাশ্যে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবাদে গর্জে উঠে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূলের দাবি, দেশের নানা প্রান্তে প্রতিনিয়ত রেল দুর্ঘটনা প্রমাণ করে এই সরকার মানুষের সুরক্ষার কথা ভাবে না। তাই এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ২০২৪-এর জুনে নতুন সরকার গঠিত হয় কেন্দ্রে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর রেল দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। গত সেপ্টেম্বরেই মোদি ৩.০ সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। তার মধ্যেই ঘটে গিয়েছিল ৩৮টি রেল দুর্ঘটনা। তারপর ২৬ দিনে আরও ১৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবুও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন এগুলি নাকি ‘ছোট ঘটনা’। কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরব হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তৃণমূল কংগ্রেস এই মর্মে ভিডিও প্রকাশ করে শনিবার জানিয়েছে, মোদী ৩.০ সরকারের প্রথম ১২৬ দিনে ৫৫টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৩১ জনেরও বেশি। এসব কি ছোট ঘটনা? সম্প্রতি অসমে, তামিলনাড়ুতে লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। ভারতে ধারাবাহিক সমস্যা হয়ে উঠেছে ট্রেন দুর্ঘটনা। এরপর একের পর এক দুর্ঘটনার ছবি তুলে ধরা হয় এই ভিডিওতে। “এটা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটা একটি জাতীয় সঙ্কট। গত বছরের তুলনায় এবছর মূলধনী খাতে ব্যয় মাত্র ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিগুলিই জীবন বিপন্ন করে তুলছে। প্রত্যেকটি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাই এক-একটা অশনি সঙ্কেত। কেননা দুর্ঘটনায় শেষ হচ্ছে জীবন, বহু জীবন সঙ্কটের মুখে। আসলে ট্রেন দুর্ঘটনা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ধারাবাহিক সমস্যা”, স্পষ্ট জানিয়েছে তৃণমূল।