আজ, শনিবার ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে পৌঁছে যান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। নিজেদের ১০ দফা দাবি আদায়ে এখনও অনড় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিব। রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও। । অনশনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথায়, কতটা কাজ হয়েছে তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জানান। পাশাপাশি, অনশন প্রত্যাহারের আর্জিও জানালেন তিনি।
ফোনে মমতা বলেন, “আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের শুভকামনা করছি। সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব। আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। বেশিরভাগ দাবিপূরণ করেছি। পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিয়েছি। একটি দপ্তর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দপ্তরটা চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার আছে। আমি বলব, তাড়াতাড়ি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা আমার অনুরোধ। মানবেন কী মানবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি চাই পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন আছে।”
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, “আমি কথা দিচ্ছি, ৩-৪ মাস সময় দিন। আপনাদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই দেখে নেব। আপনাদেরও পরীক্ষা আছে। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে। সুবিচার মিলবে। আমি মানবিকতার পক্ষে। সাধ্যমতো যতটা পারব সহযোগিতা করব। অনশন প্রত্যাহার করে আমার সঙ্গে বসতে পারো।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের নবান্নে সময় দেন। সোমবার বিকেল পাঁচটায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।