এককথায়, সর্ষের মধ্যেই ভূত। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে সরব অনেকেই। সেই আন্দোলনেরই নাকি মুখ ছিল কৃষ্ণনগর ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত রাহুল বসু। সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস জানিয়েছেন, “রাহুল বসু কৃষ্ণনগরে আর জি কর আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিল। প্রতিটি রাত দখলের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকত। শুধু তাই নয়, লাগাতার সে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ/ মৃত্যু কামনা করেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর ভিডিও শেয়ার করেছে ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। হয়তো যেই মেয়েটি খুন হল (তার প্রেমিকা) তার সাথে হয়তো এই আন্দোলনের মিছিলেও হেঁটেছে। হয়তো মিছিলের অছিলায় তার সাথে ঘনিষ্ঠতা।”
পাশাপাশি তিনি লেখেন, “এরকম একা রাহুল নয়, রাহুলের মতো হাজারও হাজারও ধর্ষক উই ওয়ান্ট জাস্টিস চিৎকার করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সব প্রতিবাদ মিছিলে, প্রতিবাদীর মুখোশের আড়ালে।” গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিট গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।