আপাতত খুশির হাওয়া ভূস্বর্গবাসীর মনে। দীর্ঘ ৬ বছর পরে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হল৷ বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মেটার পরে এখন শুরু হয়েছে সরকার গঠনের প্রস্তুতি৷ চলতি সপ্তাহের শেষেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ৷ তবে তার ঠিক প্রাকমুহূর্তেই জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের জারি করা দুটি নির্দেশকে ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল কি নিয়োগ এবং সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচিত বিরোধী জোট সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খর্ব করার জন্যই এই ধরনের নির্দেশনামা জারি করেছেন? উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই পুরো ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ৷ ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, টিম মোদী-শাহ ঠিক সেই জিনিসটাই করার চেষ্টা করছে, যেটা তারা আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন দিল্লীতে করেছে৷ দিল্লীতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য উপরাজ্যপালকে ব্যবহার করে বারবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করা হয়েছে৷ কেন বিজেপির শীর্ষস্তর জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করছে সরকার গঠনের আগে থেকেই, তার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের ব্যাখ্যা, “জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে ধুয়েমুছে গেছে বিজেপি৷ তারপরে আমাদের দেশের নন বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটি দলের পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না৷ এর পরেই নির্বাচিত না হওয়া উপরাজ্যপাল নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷” গোটা ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বলেও অভিহিত করেছেন তৃণমূল সাংসদ।