আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে উঠেপড়ে লেগেছিল বিরোধীরা। এবার ফের মুখ পুড়ল তাদের। কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই মান্যতা দিল সিবিআই। ৫৮ দিন বাদে আরজি করে ডাক্তার তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, তরুণীর ধর্ষক ও খুনি একা সঞ্জয় রাই। দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির খোঁজ এখনও তারা পায়নি। গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। অর্থাৎ ৯ আগস্ট ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ যে পথে তদন্ত করে সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছিল, ঠিক সে-কথাই জানাতে সিবিআইয়ের লাগল ৫৮ দিন। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ২১৩ পাতার প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।
সমাজমাধ্যমে বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। “ডাক্তারদের গোষ্ঠী-রাজনীতি, নাটক, নানা গল্প চলবে। হয়তো পরে অন্য নাম জুড়বে। মানুন, কলকাতা পুলিশ ঠিক পথেই ছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিট জমা পড়ার পর স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আরজি করের অভ্যন্তরে ডাক্তারদের নিজস্ব লড়াই-রাজনীতি-গোষ্ঠী বিন্যাস এ-সবের পাকেচক্রেই ঘটেছে ঘটনা। অথচ রাজ্য সরকারকে, কলকাতা পুলিশকে শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করতে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছিল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও অতি-বামেরা। তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই ধর্ষক ও খুনি, চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের। সিবিআই চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা, চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। সিবিআইয়ের চার্জশিটে একজন মাত্র যাকে দোষী প্রমাণ করা হয়েছে তাকে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এটাও তো জাস্টিস! তাহলে উই ওয়ান্ট জাস্টিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগানকে সামনে রেখে সিপিএম, নকশাল, ডিএসও-র উসকানিতে কেন জুনিয়র ডাক্তাররা সব কিছু ব্যাহত করছেন? সরকারকে কালিমালিপ্ত করছেন? জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যেই মতবিরোধ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে হাতজোড় করে কুণালের অনুরোধ, আপনারা মনোকষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তবুও বলব, পুজোর ক’টা দিন আপনারা যে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অনুরোধ করব, করবেন না। আদালতের উপর ভরসা রাখুন”, লিখেছেন তিনি।
