বিজেপিশাসিত মণিপুরে এখনও জ্বলছে জাতিদাঙ্গার আগুন। এই আবহেই ফের সে রাজ্যের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে আঘাত হানল ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। তিন বছরের বেশি সময় ধরে হিংসা সামলাতে ব্যর্থ মণিপুরের প্রশাসন। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হল তাদের। ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানো হল আফস্পার। এবার গোটা রাজ্যে আফস্পার বজায় রাখার নির্দেশ জারি হল। সেই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মণিপুরে বিদেশি প্রভাবের তত্ত্ব ওড়ালেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। এর থেকেই পরিষ্কার, নিজেদের জনজাতি গোষ্ঠীর মনোভাব বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ মণিপুরের সরকার।
প্রসঙ্গত, সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বা আফস্পা মণিপুরে জারি রয়েছে ১৯৮০ সাল থেকে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই বিশেষ ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ ছিল এতদিন। এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯টি থানা এলাকায় আসফা জারির নজির রয়েছে। এবারই সারা রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে আফস্পা জারির নির্দেশ শোনাল বীরেন সিং-এর সরকার।।উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাধারণ মানুষ বিশেষত মহিলারা মণিপুরের রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন কেন্দ্রের দখলদারি হটানোর দাবিতে। এমনকী বিজেপি বিধায়ক রাজকুমার ইমো সিং রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, মোদীর অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যের মানুষ এমনকী দলেরও একাংশের মতকে উড়িয়ে দিয়ে আসফার মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেন বীরেন সিং। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।
