দু’বছর পর নিজের গড়ে ফিরলেন বীরভূমের ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার আগেই বোলপুরে পা রাখেন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। রীতিমতো উৎসবের মেজাজ দেখা গেল এলাকায়। সকাল থেকেই বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করেছিল অনুব্রত মণ্ডলের অপেক্ষায়। দু’বছরেরও বেশি সময় পরে আজ, বীরভূমে ফিরলেন তিনি। ফুল ও স্লোগানে বরণ করে নেওয়া হল তাঁকে। আবেগঘন গলায় বললেন, শরীর ভাল থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। কয়েক দিন আগেই গরুপাচার মামলায় মুক্তি পেয়েছেন অনুব্রত। সোমবার রাতে মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোরে দমদম বিমানবন্দরে নেমে, সোজা বীরভূমের চলে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত। গাড়ি করে বর্ধমান হয়ে ফেরেন বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে।
উল্লেখ্য, আজই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতর গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনব।” আজ বাড়ি ফেরার সময়েই বর্ধমানে এক জায়গায় গাড়ি থামলে, সে সময়ে অনুব্রত সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আদালতকে সম্মান করি, আইন মেনে চলি। দিদির জন্য আছি, বরাবরই থাকব।” অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শূন্য ছিল জেলা সভাপতির পদ। জেলায় দল সামলাতে কোর কমিটি তৈরি করে দেন তৃণমূল নেত্রী। সেই কমিটিই সামলাচ্ছে জেলার দায়িত্ব। এবার জামিনে মুক্ত হয়ে জেলায় ফিরেছেন ‘কেষ্ট’। তবে কি আবার তিনি হবেন জেলা সভাপতি? জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। অনুব্রত ফেরায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। প্রবল ভিড়ের মধ্যে বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি। পুষ্পবৃষ্টি হতে থাকে আশপাশে, উঠতে থাকে জয়ধ্বনি। অনুব্রত তার মধ্যেই বলেন, তিনি ভাল আছেন। সকলকে জানান শারদীয়ার শুভেচ্ছাও।