ক্রমাগত বর্ষণ ও ডিভিসির ছাড়া জলের কারণে বন্যাকবলিত বাংলার একাধিক জেলা। দু’দিন ধরে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নারায়ণদাঁড়ি ও হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুরে জলবন্দি মানুষদের মাঝে গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। জেলাশাসককে কড়া নির্দেশ দিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, যত দ্রুত সম্ভব দুর্গতদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দিতে হবে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির তালিকা তৈরি করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব রাজ্য বহন করবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। এদিন সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবা চালু আছে। প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি। কোনও একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
পাশাপাশি মমতা জানান, রাজ্য সরকার যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ পাঠিয়েছে। পুরো বিষয়টি দেখার দায়িত্ব তিনি সরাসরি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গতদের আশ্বস্ত করে জানান, যাদের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তালিকা দ্রুত তৈরি করে আমাকে দেবেন জেলাশাসক। যাঁদের চাষের ক্ষতি হয়েছে তাঁরা যেন কোনও চিন্তা না করেন। রাজ্য সরকার আপনাদের সমস্ত রকম ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে জানান, দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। “আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে”, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।