রাজ্যজুড়ে শাকসবজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। সামনেই দুর্গাপুজো। ফলত আসন্ন উৎসবের মরশুমে শাকসবজি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য। আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার বাজারদর পর্যালোচনা করতে নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এই বৈঠকের বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের মন্ত্রী, সচিব-সহ শীর্ষ আধিকারিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সরকারের গঠিত টাস্ক কোর্সের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক দুর্যোগের জেরে ফসলের ক্ষতি হয়েছে কিনা এবং তার প্রভাব আগামী দিনে বাজারদরে পড়তে পারে কিনা তাও পর্যালোচনা করে দেখা হবে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি, অতিবৃষ্টির জেরে সবজির কোনও ক্ষতি হয়েছে কি-না তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে খুচরো বাজারে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে রফতানির উপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম এতটা বেড়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন কমল দে। গত ৯ সেপ্টেম্বর নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে জিনিসিপত্রের দামবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তিনি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন। তাই আগামীকাল বৈঠকটি হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রীর দাম নিয়ে নবান্নে কিছুদিন আগে মুখ্যসচিব একটি বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎই পৌঁছে যান। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে ব্যবসায়ীদের অনুমতি দেওয়া হয়। তার আগে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নবান্নের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলিকে জানানো হয়, ভিন রাজ্যে পাঠানো হলেও রাজ্যের বাজারে যেন আলুর দাম না বাড়ে। ২ লক্ষ টন আলু পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য।