জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে এখনও দুর্ভোগের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রোগীরা আসছেন। কাউকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে, আবার কাউকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বহির্বিভাগে। কাউকে জরুরি বিভাগ থেকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে। রীতিমতো নাজেহাল রোগীর পরিবার-পরিজন। এমনকী এই হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত রোগীদেরও।বেলগাছিয়ার এক ক্যানসার আক্রান্ত আরজি করে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু চিকিৎসা তো দূর অস্ত, তাঁকে ভর্তিও নেওয়া হল না। ভর্তি হতে না পেরে তিনি ফিরে গেলেন। আর এক রোগী জানালেন, আমি ক্যানসার আক্রান্ত। আমার গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে। আজ অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। ডাক্তারবাবু বললেন, আমি কি একা অপারেশন করব? পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, আবার আসবেন।
এরপর সেই রোগী স্পষ্ট প্রশ্ন তোলেন, এভাবে আর কতদিন আমাদের ভুগতে হবে? নিউটাউনের এক রোগিণীর সারা শরীরে খিঁচ ধরছিল। তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি গাড়ি চালিয়ে হাসপাতাল খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুধু আরজি করেই নয়, এসএসকেএমেও এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে রোগীদের। বুধবার এসএসকেএমের এমার্জেন্সিতে এসে কাকাকে ভর্তি করতে পারেননি একজন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীরাও ফিরে যাচ্ছেন জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসার পরও। এর সমাধান কবে হবে, কবে ফের সুষ্ঠু পরিষেবা মিলবে, তা এখনও অজানা।