কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। কিন্তু বাংলার প্রতি মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণ রয়ে গিয়েছে সেই একইরকম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে তা বেড়েছে আরও। বাংলাকে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করে আসছে কেন্দ্র। মনরেগা প্রকল্পের আওতায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ন্যায্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে৷ এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দরবার করেও হয়নি কোনও সুরাহা৷ এবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও প্রকাশ্যে এল বঞ্চনার চেষ্টা। আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। তৃতীয় মোদী সরকারের কার্যকালে এই প্রথম সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নামের তালিকা জানানো হবে৷ তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করেনি বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷
ডেরেকের বক্তব্য, “এখন চার-পাঁচজন সাংসদ থাকা রাজনৈতিক দলও যদি সরকার-ঘনিষ্ঠ হয় তাহলে বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়ে যায়৷ বিজেপি সরকারের আমলে এটাই রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷” রাজ্যসভা, লোকসভা মিলিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ৪১৷ ডেরেক বলেন, “এখন দেখতে হবে, সরকারের তরফে আমাদের দলকে কোন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হচ্ছে৷ আমরা কোনও পদের জন্য লালায়িত নই৷” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসের ২৭ তারিখ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ডেরেক। কেন জুন মাসে সরকার গঠনের পরে তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গঠন করা হয়নি? চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ অভিযোগ, তারপরেও মোদী সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় নেতাদের ডেকে পাঠিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার সৌজন্য দেখায়নি৷ মোদী-জমানায় সংসদীয় রীতিনীতি জলাঞ্জলি দিয়ে অসংসদীয় রীতিকেই প্রাধান্য দেওয়া রেওয়াজ হয়ে উঠেছে, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার।