আর জি কর কাণ্ডের পর রাজনীতির ঘৃণ্য আগুনে লাভের রুটি সেঁকে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা। চলছে ঘোলা জলে মাছ ধরার হন্তদন্ত। ছড়িয়ে পড়েছে একের পর এক ভুয়ো খবর। ফাঁস হচ্ছে নানান ষড়যন্ত্র। এই আবহেই প্রকাশ্যে এল একখানি অডিও ক্লিপ। যার পর থেকেই শোরগোল ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর তৈরি হয়েছে হামলার ব্লুপ্রিন্ট! পুলিশের হাতে আসা ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপে তা ফাঁস হয়ে গেল। শুক্রবার ভাইরাল হয় এই অডিও। বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তা প্রকাশ করেন কুণাল ঘোষও। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
কুণালের বক্তব্য, “ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। চরম সাবধানতা দরকার। কেউ অন্য খেলার কথা ভাবছে, যাতে জুনিয়র ডাক্তাররা শেষ হয়ে যায়। ওদের উপর হামলার প্লট তৈরি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর কথোপকথন সামনে এসেছে। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে বিপদে ফেলতে বামপন্থী এক যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের চক্রান্ত। ঘটনাস্থলে যাতায়াত চলছে বিজেপির যুবদেরও। এই অবস্থায় পুলিস-প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করুন। বহিরাগত যেন ঢুকতে না পারে।” উক্ত অডিও ক্লিপে দুজন ব্যক্তিকে হামলা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। এমনকী একজন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসারও কথা বলছেন। বলছেন, এটা কি করা ঠিক হবে? বিবেক দংশনের কথা বলতেও শোনা যাচ্ছে। কুণালের দাবি, সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিড়ম্বনায় ফেলতেই এই ছক সাজানো হয়েছে। ডাক্তারদের রক্তাত্ব হওয়ার ছবি-সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে রাজনীতির চেষ্টা হত বলেই মনে করেন তিনি। পাশাপাশি, আরও একটি ভিডিও সামনে এনেছেন কুণাল ঘোষ। যেখানে বেশ কয়েকজনকে বিজেপি অফিসে বসে থাকতে দেখা জচ্ছে। তাঁরা কি জুনিয়ার চিকিৎসক? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা।