চিকিৎসকদের ক্রমাগত কর্মবিরতির জেরে দুর্ভোগের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে চিকিৎসার অভাবে রোগীমৃত্যুর খবর। এবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আরও এক যুবক। সন্তানহারা হলেন আরও এক দম্পতি। স্বামীকে হারালেন সদ্য একবছরের বিবাহিতা স্ত্রী। গত মঙ্গলবার জ্বর নিয়ে নদীয়ার গিলা পোলের বাসিন্দা নন্দ বিশ্বাসকে ভর্তি করানো হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। কিন্তু মেলেনি প্রয়োজনীয় পরিষেবা। মৃতের ভাইয়েরা অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হয় রোগীর। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়, মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে। বহুবার বলেও কোনও চিকিৎসক বা নার্সের খোঁজ মেলেনি।
এরপর বহুক্ষণ বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর অবশেষে প্রাণ হারান বছর ২৩-এর নন্দ। চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, আরজি করের চিকিৎসকেরা স্পষ্ট জানান, “আপনারা জানেন এখানে চিকিৎসা হচ্ছে না, গন্ডগোল চলছে, তাহলে কেন রোগীকে নিয়ে এসেছেন?” মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। “আমরা গরিব মানুষ। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। সরকারি হাসপাতালগুলো যদি পরিষেবা না দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব! আমার ছেলেটাকে ওরা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলল”, জানান তিনি।