মোদী-জমানায় ক্রমশই ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে বিজেপিশাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলি। এদের মধ্য অন্যতম উত্তরপ্রদেশ। হাথরাস, উন্নাওয়ের বিভীষিকা এখনও দগদগে দেশবাসীর স্মৃতিতে। এর মধ্যেই আরও একবার প্রকাশ্যে এল যোগীরাজ্যের নারীসুরক্ষার বেহাল পরিস্থিতি। বুধবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ উত্তরপ্রদেশের কানপুরের গুজইনিতে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে এক যুবতীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় শরীরে কোন পোশাক ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের তরফে খবর, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিচয় প্রকাশ্যে না আনার জন্যই মাথা কেটে অন্য কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মহিলার ওই কাটা মাথার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। হাইওয়েতে সিসিটিভি না থাকায়, কে বা কারা এভাবে যুবতীর দেহ ফেলে গিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। হাইওয়েতে ভোরের দিকে কোন পুলিশি নজরদারি বা সিসিটিভি নেই কেন? উঠছে প্রশ্ন। অর্থাৎ, অপরাধীরা যে নজরদারি না থাকার ব্যাপার নিয়ে ওয়াকিবহাল, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই যুবতীর মতোই ধূসর রঙের পোশাক পরে একজন হেঁটে যাচ্ছে। হাইওয়ের ধারে যে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার গায়ে পোশাক না থাকলেও, পাশের ঝোপ থেকে ধূসর রঙের ছেঁড়া পোশাকের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। যুবতীর দাঁত ও হাড়ের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও নিখোঁজ ডায়েরি থানায় দায়ের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৬.১৫ মিনিটে লাশটি প্রথম নজরে আসে। বিষয়টি তদন্ত করতে তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়েই রাজ্য সরকারের তদন্ত করা উচিত, এমনই জানিয়েছেন তিনি।