কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও কাটেনি অন্ধকার। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে নারীসুরক্ষা ও নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারীনির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। এবার এক নেপালি মহিলাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্যের পিলভিটে। জানা গিয়েছে, চাকরির টোপ দিয়ে তাঁকে নেপাল থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৩ বছর। এই দেশে এনে তাঁকে ধর্মান্তরিত করে জোর করে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একই পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই মহিলাকে মারধর ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহিলার বয়স এখন ২৬। তিনি জানান, এক যুবক নিজের পরিচয় গোপন করে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। ভারতে চাকরি দেওয়ার নামে, তাঁকে নেপাল থেকে সেই যুবক এখানে নিয়ে এসেছিল। ভারতে আসার পর প্রতিনিয়ত তাঁকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। উক্ত মহিলা গত সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার এক থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সেই যুবক, তাঁর মা, তিন ভাই ও মামার বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় থানা তরফে খবর, মহিলার অভিযোগ তাঁকে রীতিমত জোর করে ওই বয়সে বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত। বিয়ের পরেই তাঁকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত তার পরিবারের সদস্যরা।