প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বারবার নতুন ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের বাজখাঁই প্রচার শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী মুখে। অথচ সেই ভারতের নিরাপদ নয় সেনাবাহিনীই! এবার বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের জাম গেট সংলগ্ন এলাকায় ছয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে দুই তরুণ সেনা আধিকারিকের উপর হামলা ও তাঁদের সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। যদি সেনার বাহিনীর সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের তরফে খবর, ইতিমধ্যেই ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের তল্লাশি চলছে। ডিআইজি নিমিশ আগরওয়াল এই মর্মে জানিয়েছেন, সেই দুই সেনা আধিকারিক স্থানীয় মহু সেনা ছাউনিতে থাকেন। দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। হঠাৎ ছয়জন দুষ্কৃতীর একটি দল তাঁদের গাড়ি আটকে ঘিরে ধরে। হামলাকারীরা এক সেনা আধিকারিক ও এক তরুণীকে আটক করে রাখে এবং ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার হুমকি দেয় বাকি দু’জনকে।
এরপর সেই আধিকারিক টাকা আনার বাহানায় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে মোবাইলে গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর সেনার অন্য কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলেই খবর। আক্রান্ত চারজনকে বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মহু সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রাত আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ জানানো হয়। ঘটনাস্থলের কাছেই সেনাবাহিনীর একটি ফায়ারিং রেঞ্জ আছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, লুটপাট, ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অস্ত্র আইনের আওতাতে বেশ কিছু ধারা যোগ করা হয়েছে কারণ তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী।ধৃতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা রুজু করা হয়েছিল ২০১৬ সালে।