Mamata Banerjee বাংলার আবহমান শিল্প-ঐতিহ্যের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল তাঁত। বুধবার সল্টলেক করুণাময়ীর বইমেলা প্রাঙ্গণে শাড়ির সম্ভার নিয়ে শুরু হল বাংলার তাঁতের হাট। এদিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ অন্যরা। এদিন অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই পরিবর্তন এসেছে বাংলার তাঁতশিল্পে। অবিভক্ত বাংলার তাঁতের যে গৌরব, তা পুনরুদ্ধারে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁতিরা ছিলেন বাংলার সবথেকে বেশি সম্পদশালী অংশ। তাঁত শিল্প বাংলার অর্থনীতি বদলে দিয়েছে।” অবিভক্ত বাংলার তাঁতের যে গৌরব তার পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “বাংলার বস্ত্রশিল্পের একটা ঐতিহ্য বরাবরই আমাদের আছে। সেই ঐতিহ্যের কালেকশন সবার মনে দাগ কাটবে।”
Read More: আগামী বছরের শুরুতেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন – নবান্নে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
পাশাপাশি, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে তৈরি ডিজাইন কাপড়ের চাহিদা বাড়িয়েছে। গতবছরে এই বাংলা তাঁতের হাটে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ বছর বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ছোট, বড় মিলিয়ে ৩০০টির উপর স্টল বসেছে। মেলায় পাওয়া যাবে বালুচরী, ধনেখালি, জামদানি, টাঙ্গাইল, মসলিন, শান্তিপুরী-সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি।” বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাঁতিরা এসে এখানে তাঁদের হাতে-বোনা শাড়ি বিক্রি করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাট এবং সুতোর যে দাম বেঁধে দিয়েছেন তাতে যেমন ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে শাড়ি কিনতে পারছেন তেমনই বিক্রেতারাও নিজেদের লাভ দেখতে পাচ্ছেন। তন্তুবায় সমবায় সমিতি, খাদি, হস্ততাঁত মহল্লা, তন্তুজ-সহ একাধিক সংস্থা মিলিয়ে একাধিক স্টল জমিয়ে দিয়েছে তাঁতের শাড়ির মেলা। বাংলার তাঁতশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকার তৎপর। শহর ও গ্রামের শিল্পের মেলবন্ধন ঘটে এই মেলায়৷ গ্রাম ও মফস্সলের তাঁতশিল্পীরা বড় মঞ্চে যেমন তাঁদের কাজ প্রদর্শনের সুযোগ পান৷ তেমনই, শহরের মানুষের হাতের নাগালেও আসতে বাংলার তাঁতের শাড়ির বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্ভার। ফলত, প্রশস্ত হয় বিপণনের পথ। তাঁতশিল্প ক্রমেই আরও লাভজনক হয়ে ওঠে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1834147127896789269