ফের বড় বিতর্কের মুখে মোদী সরকার। আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর আদানি-প্রীতির সাক্ষী রইল দেশ। যার জেরে কার্যত জলে গেল আমজনতার হাজার হাজার কোটি টাকা। কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার দেউলিয়া আইনের অপব্যবহার করে আদানি গোষ্ঠীর অধীনস্থ ১০টি ধুঁকতে থাকা সংস্থার প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে! আমজনতার অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা না থাকায় কোটি কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ মকুব করা হচ্ছে আদানিদের হাজার হাজার কোটির ঋণ। “দেশের অন্যতম বড় ব্যাঙ্ক কর্মী ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন জনসমক্ষে থাকা তথ্যের মাধ্যমে ফাঁস করে দিয়েছে, কীভাবে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত ১০টি সংস্থার থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মকুব করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতির ভাষায় যেটাকে বলে ৭৪ শতাংশ ‘হেয়ারকাট’। প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় পাত্র আদানি ওই সব সংস্থাকে হাতে নেওয়ায় ব্যাঙ্কগুলিকে অত কম টাকা নিতে বাধ্য করা হয়েছে”, এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, দেউলিয়া ১০টি সংস্থার ৬১,৮৩২ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ মাত্র ১৫,৯৭৭ কোটিতে রফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। মকুব করে দেওয়া হয়েছে ৪৫,৮৫৫ কোটি টাকা। আদানি গোষ্ঠী সংস্থাগুলি অধিগ্রহণ করার পরেই সবটা করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের দাবি, ওই ১০টি সংস্থা ঋণে ৪২ শতাংশ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে। এবিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি রাজেন নাগরের অভিযোগ, মোদী সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে আদানিদের সাহায্য করছে। দেউলিয়া আইনকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। যার জেরে বিপুল ক্ষতির কবলে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। মোদী আদানিদের উপর সদয় হলেও, জনসাধারণের প্রতি এমন নিষ্ঠুর কেন? উঠছে প্রশ্ন।