Malda Flood ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে মালদহে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা-পরিস্থিতি। গঙ্গায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এমতাবস্থায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ওই এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছনো এবং কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে হচ্ছে বৈঠক। অথচ বেপাত্তা মালদহের বিরোধী দলের দুই সাংসদ! সোমবার মালদহের মানিকচক ব্লকের সভাকক্ষে বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষের সমস্যা ও বিভিন্ন সরকারি বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদহ জেলাশাসক নীতিন সিঙ্গানিয়া, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র প্রমূখ। মানিকচক ব্লকের ভুতনি থানা এলাকা জলের তলায় রয়েছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকার মানুষের নানান ধরনের সমস্যা রয়েছে। সরকারের তরফে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও কোনও কোনও জায়গায় খামতি থেকে যাচ্ছে। সেই খামতিগুলি কীভাবে পূরণ করা যায় আরও কী ধরনের পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় এই সভায়।
আরও পরুনঃ বিধানসভায় আজ পেশ হচ্ছে ধর্ষণ-বিরোধী ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু’ বিল – থাকছে দুই কঠোর আইন
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গঙ্গা ভাঙন জাতীয় সমস্যা হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। জেলায় যিনি বিজেপির নির্বাচিত সাংসদ রয়েছে তারও কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, দুই বছরে মানিকচকের ভাঙন রোধ করতে রাজ্য সরকার চল্লিশ কোটি টাকার কাজ করেছে। আরও সাত কোটি টাকার কাজ চলছে। অন্যদিকে, রতুয়া এক ব্লকে ভাঙ্গন রোধ করতে ২১ কোটি টাকার কাজ করেছে। মানিকচক ও রতুয়া ১ ব্লকের এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। গত কুড়ি দিন ধরে জলমগ্ন প্রায় ১০ হাজার মানুষকে রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা হয়েছে। প্রায় ৯০ হাজার মানুষের কাছে সরকারের তরফে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি ভাবে ৫২টি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দুর্দিনে পাশে থেকেছে কেবল তৃণমূল। বিজেপি, কংগ্রেসের তরফে দেওয়া হয় নি কোনও ত্রাণই।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1830889505135460375