Agriculture বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই কৃষিক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই এগিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। এতদিন একশো শতক জমি থাকলে তবেই কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি পাওয়া যেত। এবার ৫০ শতক জমি থাকলেই কৃষিযন্ত্রে ভর্তুকি পাবেন চাষীরা। এমনই পদক্ষেপ নিল রাজ্য। মূলত ক্ষুদ্র চাষীদের স্বার্থেই এ বছর এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, এমন অনেক চাষী রয়েছেন যাঁদের বড়ো জমি নেই। তাঁদের পাওয়ার টিলার ও সোলার পাম্প মেশিনের জন্য ছাড়ের ঘোষণা করেছে রাজ্য। যন্ত্রপাতির দামের উপর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। পঞ্চাশ শতক জমি থাকলেই চাষীরা আবেদন করতে পারবেন। এর ফলে সমাজের বড়ো অংশের চাষীরা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে রাজ্য কৃষিদফতর। দফতরের এক আধিকারিক জানান, হাফ একর জমি থাকলেই চাষীরা ভর্তুকিতে চাষের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তিন লাখ টাকা পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। চাষীদের স্বার্থে জমির পরিমাণ কমানো হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র চাষীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট থেকে সরকারি ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। মাটির কথা পোর্টালের মাধ্যমে চাষীদের চাষের কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা ও যন্ত্রাদি ভাড়া, কেন্দ্র স্থাপন, গোটা প্রক্রিয়াটি চারটি প্রকল্পের আওতায় হয়। প্রথম দুটি হল ক্ষুদ্র ও বড় শক্তিচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা। তৃতীয়টি হল, কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বা কাস্টম হায়ারিং সেন্টার।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1829099022931354047
এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন হলো ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক বা কৃষি যন্ত্রাদি ব্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প। ‘বড় শক্তিচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি’ প্রকল্পে নিয়মের বদল আনা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র পাওয়ার টিলার ও সোলার পাম্প যন্ত্র কেনার জন্য এই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হবে। পাওয়ার টিলার দিয়ে ফসল কাটার কাজ করা হয়। অন্যদিকে, সোলার পাম্প কাজে লাগে জল সেচের জন্য। দুটোই চাষের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই যন্ত্র ভর্তুকিতে কিনতে গেলে চাষিরা একশো শতক বা এক একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু অনেক চাষিরাই একশো শতক জমি নেই। তাই এবার নিয়মে বদল আনা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, পঞ্চাশ শতক জমি থাকলেই যন্ত্র কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন কৃষকরা।
