আর মাত্র দিনচারেকের অপেক্ষা। তারপর ২৮ আগস্ট। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। এবছর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্র-নেতৃত্ব। প্রকাশিত হচ্ছে একটি বই। প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০ পাতার এই বইটির নামকরণ করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সাথী’ নামের এই বইয়ের প্রচ্ছদও এঁকেছেন তিনি। ছাত্রদের ঐতিহাসিক এই প্রয়াসে মমতা একটি লেখাও দিয়েছেন এই বইয়ের জন্য। নেত্রী ছাড়াও বইতে লিখেছেন প্রাক্তন ছাত্র নেতারাও। প্রথম বিভাগে রয়েছে প্রাক্তন সভাপতিদের কলাম। ভূমিকা লিখেছেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী ও একসময়ের ছাত্রনেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার দেখা ছাত্র রাজনীতি’ নামক একটি লেখাও থাকছে। ছাত্র পরিষদের ইতিহাস শীর্ষক লেখা রয়েছে কুমুদ ভট্টাচার্যের। লিখেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। দ্বিতীয় বিভাগে রয়েছে স্মৃতিকথা। সেখানে লিখেছেন মিহির গঙ্গোপাধ্যায়, সৌগত রায়, অশোক দেব, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, নির্বেদ রায়, অলক দাশ, মালা রায়, পার্থ ভৌমিক, গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস-সহ আরও অনেকে।
এরপর তৃতীয় বিভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। সেখানে লিখেছেন বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধাননগর কর্পোরেশনের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ আরও দু’- একজন। চতুর্থ বিভাগে রাখা হয়েছে, ছাত্রদের কী কী জানা উচিত। সেখানে লিখেছেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও দু’-তিনজন।
২৮ আগস্ট কলকাতার মেয়ো রোডে ছাত্রদের বিশাল সমাবেশে বই প্রকাশ করবেন নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই দিন মঞ্চ থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলার ছাত্র-যুব সমাজকে ও বাংলার মানুষকে কী বার্তা দেন, তার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সবাই। টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের কথায়, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছাত্র রাজনীতি থেকেই উঠে এসেছেন। তৃণমূলের কয়েকটি প্রজন্ম এখন তৈরি। আজকের বহু নেতা-মন্ত্রী উঠে এসেছেন ছাত্র রাজনীতি থেকেই। স্বাভাবিক ভাবেই টিএমসিপির প্রতিষ্ঠাদিবসকে কেন্দ্র করে সকলেরই একটা আলাদা আবেগ রয়েছে।” এবছর রেকর্ড সমাবেশ হতে চলেছে বলেই আশাবাদী ছাত্র-নেতৃত্ব।