RG Kar আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে জমায়েত করেছিলেন ময়দানের তিন প্রধান ক্লাবের সমর্থকরা। সেখানেই প্রকাশ্যে এল বড়সড় নাশকতার ছক। একটি অডিও ক্লিপে মিলল ভয়াবহ হামলার ইঙ্গিত। যেখানে শোনা যাচ্ছে, “পুলিশ লাঠি চালাবে, আমরা চালাব অস্ত্র। দেখি কার জোর কত! ওরা গ্যাস বোমা ছুঁড়বে। আর আমরা অ্যাসিড বোম ছুঁড়ব!”
আরও পরুনঃ আন্দোলনের দখল নিতে আসরে বিজেপির হ্যাশট্যাগ! – বাংলায় সুকৌশলে অস্থিরতা সৃষ্টির ছক কষছে পদ্মশিবির
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এর পিছনে কি কোনওভাবে কাজ করছে বিজেপির উসকানি? দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে জারি করা হল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা, যা ১৪৪ ধারার সমতুল্য। ইতিমধ্যেই পুলিশের উপর হামলার আশঙ্কায় ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1825471909800116630
ডিসি জানান, রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত যুবভারতী চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ডার্বি বাতিলের পর যুবভারতীর সামনে থেকে ফুটবলপ্রেমীরা যে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন, সেই মিছিলে রাত দখলের রাতে আরজি করে দুষ্কৃতী হামলার ধাঁচে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে দুটি অডিও ক্লিপও শোনানো হয়, যেখানে স্পষ্ট শোনা যায় কীভাবে ফুটবলপ্রেমীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

গোপন সূত্রে এই অডিও ক্লিপ পাওয়ার পরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবার যুবভারতীতে ছিল ১৩৩ তম ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ। কিন্তু শহরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমর্থকদের নিরাপত্তার খাতিরেই বাতিল করা হয়েছে ওই ম্যাচ।
rg kar
শনিবারই বিধাননগর পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এত বড় ম্যাচে গ্যালারিতে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যুবভারতীর ৬০ হাজারেরও বেশি দর্শকের জন্য যে পরিমাণ পুলিশকর্মী মোতায়েনের প্রয়োজন, তা এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে ডুরান্ড কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নাশকতার আশঙ্কার কথা জানানো হয়। তারপর ডার্বি ম্যাচ বাতিল করে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ।