Maharastra হঠাৎই পরিবর্তন এল নির্ঘণ্টে। নির্ধারিত ছিল যে, মোট তিনটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে৷ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই চলছিল রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি। তবে শেষ পর্যন্ত হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেও মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের তারিখ জানাল না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দিল্লীতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই রাজ্যের ভোটের দিন ঘোষণা করার পরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ এই কারণেই আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন৷ একই সঙ্গে থাকছে মহারাষ্ট্রের প্রবল বৃষ্টিপাত ও রাজ্যের কয়েকটি উৎসবের বিষয়ও৷
কমিশনের এহেন ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির প্রতি পক্ষপাত রয়েছে কমিশনের? মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল৷ এই প্রসঙ্গেই বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের তোপ, “পুরোপুরি অন্যায় কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন৷ ওরা সবসময়েই পক্ষপাতিত্ব করে থাকে৷ মহারাষ্ট্র খুব শান্তিপূর্ণ রাজ্য৷ ওখানে ভোটের আগে, ভোট চলাকালীন বা ভোট পরবর্তী নির্বাচনী হিংসা হয় না বললেই চলে৷ তারপরেও ওখানে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ভোটের আয়োজন করল না কমিশন৷ আসলে মহারাষ্ট্র নিয়ে ব্যাপক চাপে আছে বিজেপি৷ ওখানে ওদের হারার সম্ভাবনাই বেশি৷ তাই আরও কিছুদিন সময় নিয়ে ঘর গুছোতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল৷”
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1824799548226605301
শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে এদিন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন নির্বাচন কমিশনকে। “আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, ওদের বস এখনই মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের অনুমতি দিতে চাইবে না। বিজেপি এবং শিন্ডের অসাংবিধানিক ও বেআইনি রাজত্ব আর কোনওভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। রাজ্যের মানুষ তাদের একবার প্রত্যাখ্যান করেছেন, আবারও করবেন। আসলে নির্বাচন কমিশন ওদের শ্বাস নেওয়ার সময় দিল, যাতে পোষা ঠিকাদার দিয়ে রাজ্যে আরও লুঠপাট চালাতে পারে”, জানিয়েছেন তিনি।
maharastra