Agriculture Department সম্প্রতিই শস্যবিমায় বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অতিবৃষ্টি এবং খেয়ালী আবহাওয়ার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শস্যবিমার ব্যাপ্তি বাড়াতে তৎপর রাজ্য। এজন্যই রাজ্য কৃষি দফতর চলতি মাস থেকে জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করবে। এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ চাষীকে এবার শস্যবিমার আওতায় আনতে চলেছে রাজ্য। বিমার জন্য কোনও অর্থ দিতে হবে না কৃষকদের।
আরও পরুনঃ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের বৃহত্তর আন্দোলন নামবেন কৃষকরা – প্রস্তুতি শুরু সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার
খরিফ চাষে বিমার জন্য আবেদন শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। রাজ্য কৃষি দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, খরিফ মরশুমে ধানের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন চাষীরা। ৩১ আগস্টের মধ্যে ভুট্টাচাষিদের বিমা করানোর জন্য অনুরোধ করছে কৃষি দফতর। মুর্শিদাবাদ জেলায় বর্ষাকালীন ধান এবং ভুট্টা চাষ ভালো হয়। তাই জেলার সব চাষিকে কৃষকবিমার আওতায় আনার জন্য প্রস্তুতিত শুরু করেছেন দফতরের কর্তারা। প্রসঙ্গত, গত বছর খরিফ মরশুমে জেলায় ৫ লক্ষ ২০ হাজার চাষী বিমার জন্য আবেদন করেছিলেন। যাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়েছিল, বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1823693823979213142
এপ্রসঙ্গে জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, জেলা থেকে প্রতি বছরই আশানুরূপ আবেদন পাওয়া গিয়েছে। আবেদনের শুরুতেই বাংলা শস্যবিমার পোর্টালে জেলার বহু ধান ও ভুট্টাচাষী আবেদন শুরু করেছেন। কৃষকবিমায় নথিভুক্ত চাষীদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য বছরে দুবার নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হয়। খরিফ মরশুমে ধানচাষে প্রতিবার ভাল আবেদন জমা পড়ে। ফসলের ক্ষতি হলে প্রতিটি ব্লকের চাষিদের করা আবেদনের ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েত-ভিত্তিক উপগ্রহ-চিত্র খতিয়ে দেখেন ইনসিওরেন্স কোম্পানির কর্মীরা। উপগ্রহ-চিত্র ও মাঠ থেকে পাওয়া ছবিকে সামনে রেখেই ঠিক করা হয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ।
তারপর চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যায় ক্ষতিপূরণের টাকা। রাজ্য কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফসলের ক্ষতি হলে রাজ্য সরকার সরাসরি চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় ব্যাপক বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে বর্ষার ধানরোপণে সমস্যা হচ্ছে। এবছর ২ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষার ধানচাষের লক্ষ্য থাকলেও মাত্র দেড় লক্ষ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। ধানরোপণের পরেও যদি অতিবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে বিমার টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা।
agriculture department