Election Commission ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা। উত্তর-পূর্বের এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে ভোট গণনার আগেই ঘোষণা করে দেওয়া হল ‘জয়ী’ বিজেপি প্রার্থীদের নাম। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আঙুল উঠেছে নির্বাচন কমিশনের দিকেও। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, “বিরোধীমুক্ত ত্রিপুরা বানাতে চাইছে বিজেপি। পেশিশক্তি ও টাকার জোরে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।” এর আগে ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের আগেই ৭১.৪৩ শতাংশ আসনে জিতে বসে ছিল পদ্ম প্রার্থীরা। এবার সেই বিতর্ক উসকে দিল ভোট গণনার আগেই কিছু আসনে ‘জয়ী’ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। তাও আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে! গত ৮ আগস্ট পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুন: আদানিদের কয়লা-কেলেঙ্কারির তদন্তে কেন মুখে কুলুপ মোদী সরকারের? – প্রশ্ন তুলল তৃণমূল
মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে। অভিযোগ ওঠে, সেই আসন দখল করতেও বিরোধীদের উপর হামলা চালিয়েছে গেরুয়াশিবির। সেই বিতর্কে মুখ খোলেনি নির্বাচন কমিশন। বরং শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব অসিত কুমার দাস জানান, “প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। গণনার সময় সেখানেই রাজ্যবাসী ফলাফল দেখতে পারবেন।” তাঁর সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ওয়েবসাইট সচল হয়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1823301058963058851
প্রসঙ্গত, ঊনকোটি জেলা পরিষদের ছয়, আট এবং ১৩ নম্বর আসনে বিজেপিকে জয়ী দল হিসেবে দেখিয়ে দেওয়া হয়। একধাপ এগিয়ে ছিল ঊনকোটি জেলা পরিষদ ৬ নম্বর আসন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী বিমল করকে ১৮,৬৬৮ ভোটে জয়ী দেখানো হয় ভোট গণনার দু’দিন আগেই। একই পরিস্থিতি ঊনকোটি জেলার চণ্ডীপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতিতেও। এই বিতর্ক সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সচিবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ত্রিপুরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য ১০ আগস্ট মহড়া চলছিল! স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের এহেন গয়ংগচ্ছ বিবৃতিতে বিভ্রান্তি আরও বেড়ে যায়।
election commission