Jute Industry বছরের পর বছর কেটে গেলেও মেলেনি কোনও সুরাহা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠেছে বঞ্চনার অভিযোগ। অতিসম্প্রতি কেন্দ্রের নতুন বাজেটে তা স্পষ্ট হয়েছে আরও একবার। একশো দিনের কাজের প্রকল্প বাবদ রাজ্যের টাকা এখনও বাকি। পাশাপাশি শিল্পের আঙিনাতেও বারবার ফুটে উঠেছে বাংলার প্রতি মোদী সরকারের তাচ্ছিল্য ও অবহেলার চিত্র। বেসরকারিকরণ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিতে কর্ণপাত না করা, এসব প্রায় দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী চটশিল্পকেও ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে মরিয়া কেন্দ্র। বন্ধ চটকলগুলির খোলার ব্যাপারে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই তাদের। কেন্দ্রের কাছে সেই বঞ্চনার জবাব চাইতে এবং বাংলার চটশিল্পকে ধ্বংস করার কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত ব্যর্থ করতে বৃহত্তর প্রতিবাদ নামল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতি, জুটমিল মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার ফলে সংকটের সামনে বাংলার চটশিল্প। সোমবার আইজেএম অফিস, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে গর্জে উঠল আইএনটিটিইউসি।
প্রয়োজনে দিল্লী গিয়ে চটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। পাশাপাশি, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে শ্রমিকদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করার পরেও যে সমস্ত চটকলের মালিক শ্রমিকদের অতিরিক্ত শ্রমের ন্যায্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না, তাঁদের একমাসের সময়সীমা দিলেন মন্ত্রী। অবস্থানে দলে দলে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চটকল শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “শ্রমিকদের পাশে আছে রাজ্য। দাবি আদায়ে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।” অবস্থান মঞ্চ থেকে একইভাবে কেন্দ্রের ধ্বংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধে সরব হন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1822973442510999993
তিনি বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে পরাজিত হওয়ার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার চটশিল্পকে ধ্বংস করার খেলায় নেমেছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এফসিআইয়ের যে গুদামগুলি রয়েছে যেখানে খাদ্যশস্য মজুত করা হয় তার জন্য চটের ব্যাগের প্রয়োজন। কিন্তু এফসিআই যে ব্যাগের বায়না দেয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে বায়না আসে সেই অর্ডারের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। গুজরাত, মহারাষ্ট্রের সিন্থেটিক লবি দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে যে, এফসিআইয়ের গুদামে চটের বদলে সিন্থেটিক ব্যবহার কীভাবে করা যায়। ন্যায্য পারিশ্রমিক না দিলে শ্রমিকরা এককাট্টা হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।” একইভাবে মোদী সরকারের স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে মুখর হন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত অল বেঙ্গল তৃণমূল জুট অ্যান্ড টেক্সস্টাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। আইএনটিটিইউসির উত্তর কলকাতার সভাপতি স্বপন সমাদ্দার, শক্তিপদ মণ্ডল, তাপস দাশগুপ্ত, অরবিন্দ দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে।
jute industry