Parliament দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার তড়িঘড়ি সংসদের বাজেট অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হলেও ধনকরের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা৷ আগামী শীতকালীন অধিবেশনে এই প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজ অনেকটা এগিয়েও রাখছেন তৃণমূল-সহ সমগ্র বিরোধী নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মোদী-জমানায় প্রকাশ্যে ১২ হাজার কোটির কেলেঙ্কারি! – জালিয়াতির অভিযোগ আর বি ইনভেস্টমেন্টের বিরুদ্ধে
শুক্রবার হঠাৎই চলতি অধিবেশনে ইতি টেনে দেওয়ায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নোটিশ জমা করতে পারেনি বিরোধী শিবির৷ সোমবার সংসদের টেবিল অফিসে বিরোধী শিবিরের ৯০ জন মতো সাংসদের স্বাক্ষরিত এই ইমপিচমেন্ট নোটিশ জমা করার কথা ছিল৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব তৈরি নিয়ে প্রস্তুতি সেরে ফেলার পরেও ইন্ডিয়া জোটকে এখন পরবর্তী অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে এমতাবস্থায় বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্ব ৷ গত রবিবার দিল্লীতে বিরোধী শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের শরিক বড় ২-৩টি দল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার সব কাজ এগিয়ে রাখছে৷ ইতিমধ্যেই প্রথাগত যাবতীয় কাজ শেষ বলেও দাবি জানানো হয়েছে বিরোধী শিবির সূত্রে৷ নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম পর্বেই বিরোধী শিবিরের তরফে পেশ করা হবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব৷ প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী যে কোনও অধিবেশনের শেষ দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকার আলাদা আলাদা করে চায়ের আসরে নিমন্ত্রণ করেন নিজের সভাকক্ষের বর্ষীয়ান সংসদীয় নেতাদের৷
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1822994525880504712
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকে আয়োজিত চায়ের আসরে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ নয়াদিল্লীতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর কিন্তু শুক্রবার অধিবেশনের শেষে কোনও চায়ের আসরের নিমন্ত্রণ জানাননি৷ পুরো বিষয়টি মোদী সরকারের কার্যকালের একটি ব্যতিক্রমী অসৌজন্যমূলক রাজনৈতিক কার্যকলাপ বলেই অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। এই মর্মেই তারা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান যেভাবে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের ক্রমাগত অপমান করছেন, তাঁদের কার্যত গালাগাল করছেন, যেভাবে সরকারের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন, যে ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছেন, তা নিঃসন্দেহে সংসদীয় রীতির পরিপন্থী৷ এই কারণেই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।
parliament