Supreme Court সবসময় শেষ কথা বলে না তথ্য। জামিন নামঞ্জুর নয়, সংবিধান প্রাধান্য দিয়েছে জামিন দেওয়াকেই। কাজেই, কেবলমাত্র তথ্যের ভিত্তিতে নয়, জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের বিবেক এবং বলিষ্ঠ উপলব্ধিকে প্রাধান্য দিতে হবে। এবার বিচারপতি এবং বিচারকদের প্রতি এমনই বার্তা দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিচার প্রক্রিয়ার একটি রূঢ় বাস্তবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি, প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের জামিন না দেওয়ার প্রবণতা নিয়েও। রবিবার এক অনুষ্ঠানে তাঁর মন্তব্য, অপরাধমূলক ঘটনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জামিন দেওয়ার ব্যাপারে দায়রা বিচারকরা ঝুঁকি নিতে চান না। সন্দেহের কোনও অবকাশ থাকলেই জামিন মঞ্জুর না করে নির্বিঘ্নে থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা। বার্কলে সেন্টার অন কমপ্যারেটিভ ইকুয়ালিটি অ্যান্ড অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন-এর ১১ তম বার্ষিক সম্মেলনে এদিন ভাষণ দেন প্রধান বিচারপতি। বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তি বা কারণের তোয়াক্কা না করে আকস্মিক গ্রেফতারের বিপজ্জনক দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বোঝাই গেল, আসলে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এবং অন্যান্য সরকারি এজেন্সিগুলির কথা বলেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি এজেন্সিগুলোর আনা মামলায় অভিযুক্ত কিংবা ধৃতদের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়রা বিচারকদের অনীহার দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এমনকী বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের, যাঁদের গ্রেফতারের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের প্রবণতা বাড়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে চন্দ্রচূড়ের কথায়। তাঁর বক্তব্য, যাঁর দায়রা আদালতেই জামিন পাওয়া উচিত, সেখানে তিনি জামিন না পেলে অবশ্যই দ্বারস্থ হবেন হাইকোর্টের। ঠিক তেমনই হাইকোর্ট জামিন না দিলে তিনি বিচার চাইতে যাবেন সুপ্রিম কোর্টে। অযথা দেরি সমস্যাকে জটিলতর করে তুলবে। বিশেষত, যাঁদের গ্রেফতারের নেপথ্যে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ বা যুক্তি নেই, তাঁরা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের শিকার বলেই মনে করছেন প্রধান বিচারপতি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/181786429502093357
supreme court