Bengal Politics দুঃসময়ের ইতি নেই বঙ্গ বিজেপিতে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্মশিবিরের আভ্যন্তরীণ কোন্দল। দুর্বল হয়ে পড়ছে সংগঠন। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন নদিয়া বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা রফিকুল শেখ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংখ্যালঘু নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ বদলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু! যার বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতাদের। বঙ্গ বিজেপির অনেকে বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। শুভেন্দু বিপাকে পড়ে সাফাই দিলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। রবিবার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের হাত ধরে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন রফিকুল শেখ। যোগদানের পর রফিকুল বলেন, “বিজেপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দল। সবসময় ভেদাভেদের রাজনীতি করে থাকে। আর শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জেরেই আমি দল ছাড়লাম।”
আরও পড়ুন: বাম জমানায় বহু জমি লিজ নিয়েও হয়নি কোনও নির্মাণকাজ! – কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে নবান্ন
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ-বিজেপির শোচনীয় ফলের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে সংখ্যালঘু নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। সল্টলেকে পর্যালোচনা বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বন্ধ করা হোক। এবার থেকে, জো হামারা সাথ, হাম উনকে সাথ। বাংলায় সংখ্যালঘু এলাকায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। তাই সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই দলে।” এই মন্তব্যের জেরেই অসন্তুষ্ট হন নদিয়া বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা রফিকুল শেখ। রবিবার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে না, সেজন্যই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হচ্ছেন বলে দাবি রফিকুলের। “শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতারা আজ হতাশ। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এমন আরও অনেক সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে আগামী দিনে যোগদান করবে”, জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1817850104130236590
bengal politics