tmc: প্রতিবছরের মতো এবারেও ২১ জুলাই ধর্মতলায় জনজোয়ারের সাক্ষী রইল শহর কলকাতা। তৃণমূলের শহীদ স্মরণ সমাবেশ ভরে উঠল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মী, সর্মথক তথা সাধারণ মানুষের ভিড়ে। মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তৃণমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। “এর আগে নির্বাচনে হাঁটতে পারছিলেন না। পায়ে প্লাস্টার নিয়েই কর্মীদের জন্য লড়েছিলেন। তখন দুটো লাইন বলেছিলাম, এক জন একা লড়ে চলেছেন, জিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। কম নেতা রয়েছেন, যাঁরা প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করেন এভাবে। তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ কর্মী। কর্মী কোনও ব্যক্তির নাম নয়। একটা বিচারধারা। এক বার রাজনৈতিক কর্মীরা জোটবদ্ধ হলে,সারা জীবন ওই দলের জন্য লড়াই করেন। এই কর্মীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত লড়াই করে চলেছেন, এমন কর্মীদের কুর্নিশ জানাই। দূরদূরান্ত পর্যন্ত দিদির দলের কর্মীরা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, তিনি এই কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দিদি যেভাবে খুশি হয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন, নেতা এবং কর্মীদের এই সম্পর্ক, এটাই দলকে মজবুত করে। যে কর্মীরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করছি আজ। সব দলের ভাগ্যে এ রকম কর্মী মেলে না, যাঁরা প্রাণ দিতে পারেন। দিদির কাছে এ রকম কর্মী রয়েছেন। কর্মীরাই দলের ভিত্তি। যে যত বড়ই নেতা হোন, তিনি আসলে কর্মীই থাকেন। কর্মীরা ছোট নন, তাঁরাই বড়”, বক্তব্য অখিলেশের।
পাশাপাশি, একজোট হয়ে লড়ার বার্তাও দেন অখিলেশ। শহীদ স্মরণের মঞ্চ থেকে তিনি বললেন, তাঁরা ইতিবাচক রাজনীতি করেন। মানুষের জীবনে বদল আসবে শীঘ্রই। মানুষের জন্য একজোট হতে হবে। বদল আনতে হবে। কর্মীদের বললেন, তাঁদের নেতা অনেক বড় নেতা। তিনি লড়াই করে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই দলকে এখানে পৌঁছেছেন। আরও দূরে যেতে হবে। আপনারা পাশে থাকবেন। আগামী লড়াইয়ে পাশে থাকবেন বলেও জানান। পদ্মশিবিরকে নিশানা করে অখিলেশ বলেন, “আজ বিপদ অনেক বেশি। সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলছে। দিল্লীতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। আপনাদের মতো মানুষ দিদির পাশে থাকলে, তিনি সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে পারবেন। কিছু সময়ের জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হলেও আখেরে হারবেন। যাঁরা মানুষের পক্ষে থাকেন, তাঁদেরই জয় হয়। দিল্লীতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা মানুষের ভাল চান না। অন্যের প্রাণ নেন, অন্যদের মহাপুরুষকে নিজেদের বলে দাবি করেন। এঁদের গুরুদেব বা নেতাজীও থাকেন না। মহাপুরুষ হতে গেলে মানবিক হতে হবে। এঁরা তা করেন না। যা খুশি তা-ই করতে পারেন। যখন জনতা জেগে ওঠে, এই সব লোকের মিথ্যা প্রচার ধাক্কা খায়। হতাশ হয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করেন। দেশ জেগে উঠেছে।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “দিল্লীতে যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা লাভের জন্যই সব করেন। ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। বাংলায় বিজেপিকে আপনারা হারিয়ে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মানুষও তাই করেছে। এঁরা দিল্লীতে কিছু দিনের অতিথি। দিল্লীতে সরকারের পতন হবে। খুশির দিন আসবে”, জনগণের উদ্দেশে বার্তা অখিলেশের।
TMC Akhilesh Yadav