চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কার্যত ধূলিসাৎ হয়েছে পদ্মশিবিরের ‘চারশো পার’-এর হুঁশিয়ারি। দেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০ ছুঁতেই নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। চুরমার হয়ে গিয়েছে মোদী-শাহের গুমর। আর এবার রাজ্যসভাতেও কমল বিজেপির আসনসংখ্যা। পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল এনডিএ জোটও। শনিবার রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার চার সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিজেপির পরামর্শেই এই চার সদস্যকে মনোনীত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২৪৫ আসন বিশিষ্ট রাজ্যসভায় এবার বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়াল ৮৬, যেখানে সংসদের উচ্চকক্ষে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যসংখ্যা ৮৭। অর্থাৎ, এবার রাজ্যসভায় যেকোনও বিল পাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝক্কি পোহাতে হবে পদ্মপার্টিকে। সেক্ষেত্রে শরিকদের উপরই নির্ভরশীল থাকবে তারা। শরিকরা সঙ্গ না দিলে বিজেপির যেকোনও বিল অনায়াসেই আটকে দিতে পারে ‘ইন্ডিয়া’।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্যসভায় বিজেপির রাকেশ সিনহা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফলে ফাঁকা হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ-এর আসন। ২৪৫ আসনবিশিষ্ট রাজ্যসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোনও দল বা জোটের সঙ্গে ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হয়। সেখানে বর্তমানে এনডিএ-র সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম। ফলত এতদিন যেভাবে বিরোধীদের দমন করে যেকোনও বিল জোরপূর্বক পাশ করিয়েছে বিজেপি, এবার তা সম্ভব নয়। বিল পাশের জন্য শরিকদের পাশাপাশি কোনও জোটেরই শরিক নয়, এমন দলগুলিকেও খুশি করে চলতে হবে বিজেপিকে। আর এনডিএ-এর কোনও শরিকদল জোট থেকে পিছিয়ে এলে কিংবা জোট নিরপেক্ষ দলগুলি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে শামিল হলেই আরও বিড়ম্বনায় পড়বে গেরুয়াশিবির।