রাজ্যজুড়ে সব্জির ঊর্ধ্বগামী দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেইমতোই কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। জনগণের কাছে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে চাষীদের কাছে গিয়ে পেঁয়াজ সংগ্রহের কাজ আরম্ভ করেছে কৃষি বিপণন দফতরের অধীনে থাকা ‘সুফল বাংলা’। রাজ্যে আরও এক হাজারটি পেঁয়াজ গোলা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। কয়েক মাস আগেই চাষীদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য দিয়ে পেঁয়াজ কেনা শুরু হয়েছে। এবার মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া জেলায় কৃষকদের কাছে গিয়ে পেঁয়াজ কিনছে সুফল বাংলা কর্তৃপক্ষ। যা ৪৬৮টি ‘সুফল বাংলা’ স্টল থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে দু’টাকা কমে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে জনসাধারণের কাছে।
পাশাপাশি, নির্দিষ্ট ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা কৃষকদের কাছে গিয়ে সরাসরি কথা বলছেন। কাদের কাদের গোলায় এখনও রাজ্যের উদপাদিত পেঁয়াজ রয়েছে, সে খোঁজ নিচ্ছেন আধিকারিকরা। আগামী একমাসে কোন কোন জেলার কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনে সুফল বাংলার মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হবে, তাও চিহ্নিত করে ফেলা হচ্ছে। রাজ্যে এখন চার হাজার পেঁয়াজ গোলা রয়েছে। এক একটির মজুত ক্ষমতা ৯ থেকে ১০ টন। গোলায় বিশেষ প্রযুক্তি বাঁশের মাঁচায় পাতা-সহ পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এতে পেঁয়াজ অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস সতেজ থাকে। গোলা তৈরির ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, আগামী এক বছরে রাজ্যের আর্থিক সাহায্যে আরও এক হাজার পেঁয়াজ গোলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে রাজ্য সরকার।