মোদী-জমানায় দেশজুড়ে যেমন বারবার ফুটে উঠেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদের ঘৃণ্য চিত্র, তেমনই প্রকাশ্যে এসেছে সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনাও। এবার বিজেপিশাসিত উত্তরখণ্ডেও ধরা পড়ল সেই ছবি। কাঠগড়ায় বিজেপি। প্রসঙ্গত, বুধবার দেশের একাধিক কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের মঙ্গলৌর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে ভোটগ্রহণ চলাকালীন প্রবল অশান্তির সৃষ্টি হয়। লিবারহেরি গ্রামের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে এই ঘটনায়। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
মঙ্গলৌর কেন্দ্রের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা দাবি করেছেন, তাঁরা ভোট দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। বয়স্কদেরও নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে। ভিডিও তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তমাখা কাপড় দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এদিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫ জন লোক। তখনই ৪ জন বিজেপি কর্মী বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রকাশ্যে গুলি চালাতে থাকে তারা। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা বলে যে এখানে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। প্রথম চিৎকার করে সবাইকে চলে যেতে বলে তারা। তারপর স্থানীয়দের বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটায়। ঘটনাটি পুলিশের সামনেই ঘটে। তবে তখন তারা মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বলেই অভিযোগ। সরব হয়েছেন মঙ্গলৌর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কাজী নিজামউদ্দিন। “দুষ্কৃতিরা প্রকাশ্য গুলি চালিয়েছে। গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি”, প্রশাসনকে বিঁধে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।