এবারের লোকসভা নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্মশিবিরের ‘চারশো পার’-এর হুঁশিয়ারি। দেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০ ছুঁতেই নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। পাশাপাশি, বাংলার বুকেও শোচনীয় ফল করেছে তারা। তার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্ম-পরিবারের অন্দরে। ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে দলীয় অন্তর্ঘাত। এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনেও বিজেপির পিছু ছাড়ল না আভ্যন্তরীণ কোন্দল। হাওড়া গ্রামীণ বিজেপি একই দিনে দুই জায়গায় দুটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল! শনিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে হাওড়া গ্রামীণ পার্টি অফিসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তারা। বিজেপির প্রাক্তন হাওড়া জেলা গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিকের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দ্বারা পরিচালিত আরোগ্য ভারতীর ব্যানারে দলীয় কার্যালয় থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে আরেকটি রক্তদান শিবিরের আয়োজিত হয়। দ্বিতীয় রক্তদান শিবিরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, এত কাছে এসেও জেলা অফিসে যাননি দিলীপ। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। হাওড়া গ্রামীণের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অনুপম মল্লিকের মতে, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে প্রত্যেকটি বুথে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। ওই বুথে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি যান। বিজেপি কর্মীরাও এসেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, জেলা অফিস থেকে রক্তদান শিবিরের জন্য তিনি ডাক পাননি। যদিও হাওড়া গ্রামীণের বর্তমান বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পালচৌধুরী বলেন, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁরা রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই বিজেপি কর্মী। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের সময়ও উলুবেড়িয়া আসনে বিজেপির ভাল ফলাফলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেখানকার সংগঠনের তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব ও দুর্বল সংগঠন। আর জোড়া রক্তদানের অনুষ্ঠানেই বোঝা গেল যে, সমস্যার সুরাহা করতে এখনও নাজেহাল গেরুয়া-পার্টি।