এবছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে মহা ধুমধামে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছিল মোদী সরকার। কোটি কোটি খরচ করে নির্মিত এই মন্দির নিয়ে বিতর্কের অন্ত ছিল না দেশজুড়ে। নির্বাচনের ঠিক আগে এর উদ্বোধনের বর্ণাঢ্য ও ব্যয়বহুল আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই।ভোট মাথায় সব নিষেধ অগ্ৰাহ্য করে তাড়াহুড়োয় তৈরি হয়েছিল রামমন্দির। আর প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জলে ভরে যায় রামলালার গর্ভগৃহ। এনিয়ে প্রবল শোরগোল উঠেছে উত্তর প্রদেশে। এর জেরে পূর্ত ও জল নিগমের ৬ অফিসারকে বরখাস্ত করেছে যোগী সরকার। এর মধ্যেই ফের সমস্যার সৃষ্টি করেছে রামন্দিরমুখী ১৪ কিলোমিটার রাস্তা। বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই রাস্তায় জমেছে হাঁচুজল। এনিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। অযোধ্যার বহু রাস্তায় জলে ঢুবেছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মন্দিরগামী ১৪ কিলোমিটার রাস্তার বহু অংশই ডুবেছে জলে। ডুবেছে শ্রীরাম হাসপাতালও। এনিয়ে পূর্ত বিভাগের সচিব অজয় চৌহান জানিয়েছেন এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। ওই রাস্তা তৈরি করেছিল আহমেদাবাদের সংস্থা ভূবন ইনফ্রাকম প্রাইভেট লিমিটেড। এনিয়ে তাদের জারি করা হয়েছে নোটিশ।
উল্লেখ্য, বহু কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি রামমন্দির ও অযোধ্যার বিভিন্ন রাস্তা। ৬ মাস যেতে না যেতেই প্রথম বর্ষাতে এই অবস্থা নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, চার দিনের মধ্যে ৩ বার ডুবল রামপথ। অন্যদিকে রাম মন্দিরের ছাদেও ফাটল দেখা গিয়েছে। ভেতরে জল পড়ছে। মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় না রেখে ভোটের আগেই উদ্বোধন করে দেওয়া হয়েছিল রামমন্দির। অযোধ্যার এই অবস্থা নিয়ে বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান অজয় রাই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, উত্তর প্রদেশে আরও একটি দুর্নীতি সামনে এসে গেল। অযোধ্যায় রামপথ তৈরি হয়েছে ৮৪৪ কোটি টাকা খরচ করে। সেই রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ঢুবে গিয়েছে, কোথাও ভেঙ্গে গিয়েছে। রামমন্দিরে যে জল ঢুকছে তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রামন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সতেন্দ্র দাস। “বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই মন্দিরের ভেতরের প্রচুর জল জমে গিয়েছে। মন্দির তৈরির সময়ে কিছু খামিত রয়েছে গিয়েছে তাই এখন বৃষ্টির জল ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হল দল বের হওয়ার কোনও রাস্তা নেই। এদিকে বৃষ্টির জল চলে আসছে মন্দিরের ভেতরে”, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি।