তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি কোনও সাংবিধানিক পদের দায়িত্ব নিতে চান না। মনমোহন সিংহের জমানায় কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হতে চাননি। কংগ্রেসের সভাপতি হয়েও একটি লোকসভা ভোটে হারের পরেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এবার নতুন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হয়েই দেশের জনগণের কন্ঠস্বরকে সংসদে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলেন রাহুল গান্ধী। শুধু সংসদ নয়, দলীয় বৈঠকেও রাহুলকে এখন ‘মারকাটারি’ মেজাজে দেখা যাচ্ছে বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে খাড়গে নেতাদের বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করুন। সূত্রের খবর, রাহুল তখন এআইসিসি-তে মহারাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত নেতা রমেশ চেন্নিথালাকে বলেন, ‘সকলের সঙ্গে কথা বলে বোঝান। কথা না শুনলে কয়েক জনকে শিকার করে দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিন।’
সূত্রের খবর, লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে ‘শ্যাডো প্রাইম মিনিস্টার’ হিসেবে দেখা হয়। কংগ্রেস ও বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে রাহুল ‘ছায়া মন্ত্রিসভা’ (শ্যাডো ক্যাবিনেট) তৈরি করতে পারেন। যেখানে এক-এক জনের কাঁধে সরকারের এক-একটি মন্ত্রকের কাজকর্মে নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে। এ ক্ষেত্রে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুলের প্রথম দায়িত্ব ছিল, স্পিকার পদে নির্বাচনের পরে ওম বিড়লাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে স্পিকারের চেয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসা। সে সময়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করেন রাহুল। তারপরে স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘গত বারের তুলনায় এ বার বিরোধীরা দেশের অনেক বেশি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সংসদ চলুক, ভাল ভাবে চলুক। আস্থার ভিত্তিতে সহযোগিতা হোক। সংসদে বিরোধীদের স্বরকে অনুমতি দেওয়া জরুরি।’