একদিকে বিজেপি নেতা তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক রাহুল গান্ধী। একইদিনে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের তরফেই ফোন এল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দুই শিবিরই স্পিকার নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর জন্য় তৃণমূলের সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন। এবার তৃণমূল কি সিদ্ধান্ত নেয়, তা জানা যাবে আজই।
আজ লোকসভার স্পিকার নির্বাচন। সকাল ১১টায় স্পিকার নির্বাচনে ভোটাভুটি শুরু হবে। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের দিকই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী জোট। স্পিকার পদে ওম বিড়লা নাকি কে সুরেশ-কাকে সমর্থন করবে তৃণমূল, তা সকাল ৯টার মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে দলের তরফে।
সংসদে পথ চলার শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। একাধিক বিষয় নিয়ে শরিকদের অসন্তোষের মুখে কংগ্রেস। অভিযোগ, একতরফা ভাবে স্পিকার পদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। শরিকদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। এই নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শরিকরা। তারা অভিযোগ করেন, আরও আগে সমন্বয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব নিয়েও চটেছেন শরিকরা। এক্ষেত্রেও তাদের মতামত গ্রহণ না করেই প্রোটেম স্পিকারের কাছে রাহুলের নাম পাঠান সনিয়া গান্ধী, এমনটাই অভিযোগ।
এই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা বৈঠকে যোগ দিলেও কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নিয়ে যে অখুশি, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও সব সাংসদের শপথ নেওয়া হয়নি, অনেক সাংসদ আবার জেলে রয়েছেন। এক্ষেত্রে স্পিকার পদে ভোটাভুটি হলে স্বাভাবিকভাবেই এনডিএ শক্তি প্রদর্শন করবে আর মুখ পুড়বে ইন্ডিয়া জোটের, এই যুক্তিতেই স্পিকার পদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।