রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রবেশ ঘটে গিয়েছে বর্ষার। শুরু হয়ে গিয়েছে আষাঢ় মাস। উত্তরবঙ্গে ভরা বর্ষায় প্রায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও সেভাবে বৃষ্টিতে ভেজেনি দক্ষিণবঙ্গ। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে হয়নি সেটুকুও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, জুনে বৃষ্টির ঘাটতি হতে চলেছে। আর তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষের কাজ। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তবে সপ্তাহের মধ্যভাগে ফের বিরতি নেবে বর্ষা। সবমিলিয়ে জুন মাসে বৃষ্টিতে ঘাটতি থেকেই যাবে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সেই ৩১শে মে থেকে ইসলামপুরে আটকে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এবার তা গতি পেয়েছে। ২১শে জুন আনুষ্ঠানিক বর্ষা এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। হলদিয়া পর্যন্ত বিস্তার হয়েছে। তার পরের অঞ্চল অবশ্য এখনও বৃষ্টিতে ভেজেনি সেভাবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ কলকাতার আকাশ দিনভর আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। তবে সকাল থেকে চড়া রোদে কার্যত পুড়ছে মহানগরীর পথঘাট। আগামী চার-পাঁচ দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৯৩ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৮ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পং বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা এই দুই পার্বত্য জেলাতে। আর তার জন্য বেশ কিছু সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি নদীগুলিতে ফের জলস্তর বাড়বে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। শস্য ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাঁচা বাড়ি। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা।