সদ্যই শেষ হয়েছে দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। আর তারপরই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার আরও কড়া হাতে সরকার চালাবেন। এবার দলের সংগঠনের রাশ আরও শক্ত করতেও কড়া হলেন তিনি। পাটুলিকাণ্ডে মমতার নির্দেশে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি শোকজ করলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল ও তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে।
জানা গিয়েছে, এই শোকজের খবরের পর বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা বিজয়গড়ের সমাজগড়ে ডেকে পাঠানো হয় তারকেশ্বর চক্রবর্তী এবং স্বরাজ মণ্ডলকে। টলিগঞ্জ ও যাদবপুরের পরির্দশক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডেকে পাঠান তাঁদের। এর আগে দুপুরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের ঘরে ডাকেন স্বরাজ মণ্ডলকে। গোটা ঘটনা জেনে দ্রুত এই দ্বন্দ্ব মেটানো নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, পাটুলির মেলার মাঠে এলাকার কাউন্সির স্বরাজ মণ্ডলের কার্যলয় রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে একদিন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এসে বসেন। অভিযোগ, এরপর নিজের কার্যালয়ে কাউন্সিলর বসতে গেলে বিধায়ক ও ১১ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা তাঁকে বলেন চেয়ারে বসা চলবে না। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলকে মারধর করা হয়। ঘুষি মারা হয় মুখে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন তারকেশ্বর চক্রবর্তী।