এ বছর নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। এমনকী পরীক্ষা বাতিল ও কাউন্সেলিং বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। এ হেন চাপের মুখে এবার ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় অসঙ্গতির অভিযোগ একপ্রকার মেনে নিল কেন্দ্র। এমনকী যে ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এ কথা জানিয়ে দিল মোদী সরকার। ওই ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী চাইলে তাঁদের ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুরুতে কেন্দ্র তথা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি দাবি করছিল, নিটে কোনওরকম বেনিয়ম হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভুল প্রশ্নের জেরে যে ১৫৬৩ জন গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, সেই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। ওই ১৫৬৩ জনকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলা হবে। আগামী ২৩ জুন ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ওই পড়ুয়াদের। ফলাফল ঘোষণা ৩০ জুন। তবে যেহেতু নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ একটি বিকল্প হিসাবেই দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের, সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে এই পরীক্ষায় না বসতেও পারেন কিনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঘুরপথে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বেনিয়মের অভিযোগ মেনে নিল মোদী সরকার?