ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে ফের বিপর্যস্ত সিকিম। এবারে উত্তর সিকিমে ধস, হড়পা বান ও প্রবল বর্ষণের ফলে অবরুদ্ধ হল রাস্তা। সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। ধসের জেরে ডিকচু-সিংতাম রোড বন্ধ। লাচুং থেকে গ্যাংটক নামার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল লরি। দুর্ঘটনাটি ঘটে টিনটেকখোলায়। আহত হয়েছেন ৭ জন। আহতদের মঙ্গন জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির জেরে রাস্তা ধসে যাওয়ায় নর্থ সিকিম কার্যত বিচ্ছিন্ন। লাচুং, লাচেনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা আটকে রয়েছে কিনা, তার খোঁজ নিচ্ছে সিকিম প্রশাসন।
পাশাপাশি, ধস নেমেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিংতামের শান্তিনগর এবং গ্যাংটকে। সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সোমবার রাত থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। জাতীয় সড়ক জুড়ে বোল্ডার, গাছ, জলকাদা জমে আছে। শান্তিনগর, সিংটামে রাস্তাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় যানজট তীব্র হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের পর ১০ নম্বর জাতীয়া সড়কে শিলিগুড়ি থেকে একমুখী যান চলাচল শুরু হলেও দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়ে যায়। সিকিমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মেঙ্গলি, ইয়াংগাং, নামচি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি । রোলেপে ভূমিধসের সঙ্গে ছিল হড়পা বানের প্রকোপ। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে গ্যাংটকের শিবমন্দিরের কাছে। গত কিছুদিন ধরে বর্ষণ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। একটানা বৃষ্টির কারণে ধস নামে দক্ষিণ সিকিমে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ সিকিমের মাজুয়া গ্রাম। তার উপর আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।