জোট সরকারকে তির্যক শ্লেষের রসে চুবিয়ে কবিতায় হাজির করলেন গুলজার। এবারের ফলাফলে তাঁর চোখে ধরা পড়েছে বেয়াদব ঘোড়ার বেপরোয়া লাফালাফি। রাজনীতি এবং কবিতা দুনিয়াকে দুটুকরো করে দেবে না। ওরা প্রচার করে পদ্যে, আর শাসন করে গদ্যে। তাঁর নতুন কবিতায় গুলজার লিখেছেন, জোট সরকারের দরাদরি নিয়ে।
দেশের জরুরি অবস্থা নিয়ে ‘আঁধি’ সিনেমা তৈরি করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। ইন্দিরা গান্ধী সরকার সেই সিনেমা নিষিদ্ধ করে দেয়। ১৯৯৬ সালে পাঞ্জাবের উগ্রপন্থা নিয়ে তৈরি করেন ‘মাচিস’ সিনেমা। কোভিড ১৯-এর সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে কলম ধরেছিলেন।
এবার যে কবিতা লিখেছেন, তার প্রথম তিনটি পংক্তি হল, বড়ে মাগরুর হ্যায় ঘোড়ে সুনা হ্যায়, উও মন মর্জি সে চলনে লগ গয়ে হ্যায়, উও সোনে কি লাগামে মাঙ্গতে হ্যায়। যার অর্থ, ঘোড়াগুলো খুবই দাম্ভিক, উদ্ধত। আমি শুনলাম তারা নিজের মতো ইচ্ছেমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন ওরা সোনার লাগাম পরার বায়না করছে।
স্পষ্টতই দেশের স্থায়িত্বের বিনিময়ে ক্ষুদ্র দলগুলির বিরাট দামদস্তুর করাকে ইঙ্গিত করেছেন গুলজার। আপাতভাবে জেডিইউ এবং টিডিপিকেই লক্ষ্য করেছেন তিনি। গুলজার ক্ষুরধার শব্দে বিঁধেছেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে। পরের তিনটি পংক্তিতে গুলজার লিখেছেন, চালো জাও না মাঙ্গো শের শাদি কে লিয়ে অব, হামারে দাম অব উন সে জাদা হ্যায়-অর্থ হল সিংহকে এখন বিয়ের প্রস্তাব দিও না। আমাদের দাম এখন ওদের থেকে বেশি।