রীতিমতো উলটপুরাণ! ফলাফলের আগে বিজেপির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল এক্সিট পোলে। কিন্তু ফলাফলে ধরা পড়ল অন্য চিত্র। শনিবার সপ্তম দফার পর থেকেই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন সমীক্ষায়, কেন্দ্রে প্রায় ৩৫০ আসন পেয়ে ফিরবে এনডিএ, সেক্ষেত্রে বিজেপিকে এককভাবেই ম্যাজিক ফিগার ২৭২ পার করিয়ে দিয়েছিল অনেক এক্সিট পোল। কিন্তু মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পরেই দেখা যায়, ৩৫০ নয়, এনডিএর আসন থাকছে ৩০০ র কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, এককভাবে বিজেপিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। বাংলায় ২৯টি জয় পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে কালীঘাটের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মানুষই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। মোদিজি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এতে আমি খুশি। নৈতিক হার স্বীকার করে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। দেশের মানুষ বিজেপিকে এককভাবে জিততে দেননি। এজেন্সির অত্যাচার, মিডিয়ার একাংশের অত্যাচার, বিচারব্যবস্থার একাংশের অন্যরকম রায়, মানি-পাওয়ার সবকিছুর বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছেন। মোদী-শাহর অহঙ্কার চূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা যা করেছেন তা ক্ষমাহীন অপরাধ। তাঁদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে তৃণমূলের বিপুল জয়ের (২৯) কারণে বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেত্রী বলেন, “চার-পাঁচটি জায়গায় অবজারভার জয়ের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না।” বিশেষ করে কাঁথির কথা উল্লেখ করে নেত্রী বলেন, ওখানে অবজারভার সার্টিফিকেট আটকে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব-সহ জোটের বাকিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক সম্পর্কে নেত্রীর বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি এ বিষয়ে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নেত্রী বলেন, সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে বাংলায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে সবটা করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো হয়নি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন নেত্রী। “ওরা বিজেপির কমিশনের মতো কাজ করেছে। আমাদের কোনও কথা শোনেনি। বিজেপি রিপোল চাইলে দিয়েছে। আমরা চাইলে দেয়নি”, জানান তিনি।