ভোটের দু’দিন আগেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফের বিরুদ্ধে। তাতে এক শিশু ও পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১০-১২ জন জখম হয়েছিলেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হওয়ায় গত ১ জুন সেখানে ভোট হয়। ভোটের দিনেও ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়ায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ হয়। ফুলবাড়িতেও হিংসা ছড়ায়। এবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরহাট এলাকায়। রবিবার রাতে সেখানে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেরহাট এলাকার কয়েক জন তৃণমূল কর্মী পিকনিক থেকে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় আইএসএফ। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসার সময় দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কর্মীদের জিরেনগছা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লার নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা কাশীপুর থানায় যান। তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লা বলেন, ‘আইএসএফের পায়ের তলায় মাটি নেই। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ছিল। মানুষও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। হারার ভয়ে এই হামলা।’