মোদীর আমলের ফের সংকটের মুখে দেশের অর্থনীতি? সমীক্ষা জানাচ্ছে তেমনই। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) দেশে ঋণ প্রদানের হার গত বছরের তুলনায় কমতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিল ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। এতে ধাক্কা খেতে পারে দেশের অর্থনীতি। ক্রিসিলের বক্তব্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সার্বিকভাবে ঋণ প্রদানের হার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়েছিল। এবার তা বাড়তে পারে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের মতো ঋণের বাজার ততটা ভালো যাবে না। চলতি অর্থবর্ষে মনে করা হয়েছিল, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭.৬ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবর্ষে তা কমে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ঋণের ঝুঁকি সংক্রান্ত মূল্যায়ন করবে। তাতে ঋণ দেওয়ার শর্ত কঠোরতর হতে পারে বলে অনুমান।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়গুলি ঋণের সামগ্রিক বাজারকে কিছুটা থিতিয়ে দেবে বলে মনে করছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি। তাদের বক্তব্য, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ছ’মাস (অক্টোবর-মার্চ) শিল্প সংস্থাগুলির বিনিয়োগের হার বাড়বে। সেই পুঁজি জোটাতে ঋণের প্রয়োজন হবে। সারা দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যে ঋণ দেয়, তার প্রায় ৪৫ শতাংশ দখল করে থাকে কর্পোরেট বা শিল্প সংস্থাকে প্রদত্ত ঋণ। এর হার ১৩ শতাংশ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ক্রিসিল সংস্থা।