লোকসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ের ব্যবধানের নিরিখে এবার রাজ্যের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে ডায়মন্ড হারবার। বৃহস্পতিবার ভাঙড়, সংগ্রামপুরের পর নিজের কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতগাছিয়া বিধানসভার বিদ্যানগরের নির্বাচনী সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন এলাকার বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘আমাকে বিরোধীরা এখান থেকে হঠাবে বলছে। অত সোজা? আরে, চেনা বামুনের পৈতে লাগে না। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের হৃদয়ে আমি। ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নে ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ করেছি। আগামী ১০ বছরে আরও দশ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ হবে। যারা ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকে স্তব্ধ করতে চায়, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিন।’
বিজেপির উদ্দেশে তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, ‘আমাকে ধমকাবে চমকাবে, আমার বাবা-মা, স্ত্রীকে বারবার ইডি, সিবিআই দিয়ে হেনস্তা করবে! তোমাদের শেষ দেখে ছাড়ব। মোদী সরকারের বিদায় আসন্ন। চার তারিখ বিজেপি চোখে সরষে ফুল দেখবে। দিল্লিতে ক্ষমতায় বসবে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার যার নির্ণায়ক শক্তি হবে এই বাংলার মানুষ।’ গতকালের সভায় বিজেপি ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বামেরা ৩৪ বছর আর মোদীর সরকার ১০ বছরে ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের জন্য কী করেছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩ বছরের সরকার আর আমার দশ বছরের সাংসদ থাকাকালীন সময়ে ডায়মন্ড হারবারের কী উন্নয়ন হয়েছে তা নিয়ে আলোচনায় আসুন। ল্যাজে-গোবরে করে ছাড়ব।’
অভিষেকের সাফ কথা, ‘নারীশক্তি, মাতৃশক্তি, যুবশক্তি আমার সঙ্গে আছে। কোনও ষড়যন্ত্রই রুখতে পারবে না। যতদিন যাচ্ছে তৃণমূলের জনসমর্থন বাড়ছে।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের সেনাপতির আরও বক্তব্য, ‘আসামের মুখ্যমন্ত্রী যদি অসম ছেড়ে বাংলায় এসে বসে থাকেন, তাহলেও এবার আমার চার লক্ষ ভোটে জয়ের ব্যবধান কমাতে পারবেন না। কারণ আমি রাজনীতি করি না, মানব ধর্মে বিশ্বাস করি। সম্প্রতি বড় কাছারিতে ৭৩ টি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়। বিজেপির প্রার্থী এসে রাজনীতি করে গিয়েছে। আমি ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার বিশ্বাস, লোকসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ের ব্যবধানের নিরিখে এবার রাজ্যের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে ডায়মন্ড হারবার।’